দেশের রফতানি আয়ের অন্যতম উৎস ছিল চা, পাট ও চামড়া। আন্তর্জাতিক বাজারে ওই তিনটি পণ্যের বাজার একসময় বাংলাদেশের একচেটিয়া ছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক ভাবে চা ও পাটের আন্তর্জাতিক বাজার ইতোমধ্যেই হারিয়ে বসেছে। এবার চামড়ার বাজারও হাত ছাড়া হওয়ার পথে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী সভাপতি ও জাতীয় সংহতি মঞ্চের প্রধান সমন্বয়কারী মাওলানা একে এম আশরাফুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, দেশের সকল কিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। চামড়া শিল্পও আজ ধ্বংসের পথে। লাখ টাকা গরুর চামড়া মাত্র এক শ’ বা দুই শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কুরবানির পশুর চামড়া এতিম, মিসকিনের হক। চামড়ার মূল্য বেশি হলে তাতে গরিবদের ও দেশের লাভ হবে। সুতরাং ঘোষিত চামড়ার মূল্য ন্যায্যমূল্য নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। তাই চামড়ার মূল্য আরো বৃদ্ধি করে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার দাবি জানান।
তিনি বলেন, গত কয়েক বছর যাবত কুরবানির পশুর কাঁচা চামড়া সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে। চামড়ার মূল্য হ্রাস ও পাচারে বিশেষ সিন্ডিকেট জড়িত বলেও তিনি মন্তব্য করেন। দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই খাতকে রক্ষা করতে চামড়া শিল্পকে সিন্ডিকেটের হাত থেকে রক্ষা করার দাবি জানান।