শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ১১:২৩ অপরাহ্ন

প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে প্রেম, ছাত্রীকে নিয়ে পালালেন শিক্ষক

রাকিব হাসনাত / ১২৯ পঠিত
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৪ মে, ২০২২

প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে প্রেম, ছাত্রীকে নিয়ে পালালেন শিক্ষক পাবনার বেড়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে রেখে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষক ছাত্রীর বাড়ি গিয়ে তাকে প্রাইভেট পড়াতেন বলে জানা গেছে।

শনিবার (১৪ মে) সকালে নতুন ভারেঙ্গা একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক হাসমত হোসেন উপজেলার নতুনভারেঙ্গা ইউনিয়নের বাটিয়াখড়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে। তিনি ঐতিহ্যবাহী ভারেঙ্গা একাডেমীর সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

স্কুল সূত্রে জানা গেছে, ভারেঙ্গা একাডেমীর সহকারী শিক্ষক হাসমত হোসেন ওই ছাত্রীকে তার বাড়িতে গিয়ে প্রাইভেট পড়াতেন। প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সোমবার ওই ছাত্রী স্কুলে যায়। তবে স্কুল ছুটির পর সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। তার অভিভাবকরা দুদিন ধরে খোঁজাখুঁজি করেনও সন্ধান পাননি।

পরে ওই ছাত্রীর সহপাঠীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিভাবকরা গৃহশিক্ষক হাসমত হোসেনের কাছে ফোন করেন। তিনি ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন এবং তাকে বিয়ে করেছেন বলে জানান। এ ঘটনায় বুধবার ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বেড়া মডেল থানায় অভিযোগ করেন।

ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘হাসমতকে আমি অনেক বিশ্বাস করতাম। তার কাছে আমার মেয়ে প্রাইভেট পড়ত। কিন্তু সে এত বড় প্রতারক, তা জানতাম না।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সহকারী শিক্ষক হাসমত হোসেন সাত বছর আগে বেড়ার বাটিয়াখড়া গ্রামের মৃত হিরা মিঞার মেয়ে খাদিজা খাতুনকে বিয়ে করেন। তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

ভারেঙ্গা একাডেমীর প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমান বলেন, ‘প্রায় এক যুগ ধরে হাসমত স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। আগে কখনো এমন আচরণ তার মধ্যে লক্ষ্য করিনি। তিনি এমন ন্যাক্কারজনক কাজ করেছেন আমরাও সামাজিকভাবে লজ্জার মধ্যে পড়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে পুলিশ ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের কথা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।’

বেড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, ‘আমাদের কাছেও অভিযোগ এসেছে। ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ