ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে গতকাল রবিবার রাতে পাকিস্তানের বিভিন্নস্থানে পিটিআই এর নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা মিছিল-সমাবেশ করেছে।
বিশাল সংখ্যক পিটিআই সদস্যদের মধ্যে পুরুষ, নারী এবং শিশু ছিল। পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে তারা পিটিআই-এর দলীয় পতাকা হাতে মিছিল করেছে।
এসময় মিছিলকারীদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ইমরান খানকে ফেরত চায়। দেশব্যাপী ইমরানের সমর্থনে বিক্ষোভ হলেও ইসলামাবাদ ও করাচিতে বেশি সমর্থক দেখা গেছে। ইসলামাবের বিভিন্ন স্থানে বড় আকারে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে পিটিআই সমর্থকরা।
এছাড়া পেশোয়ার, মালাকান্দ, মুলতান, খানেওয়াল, খায়বার, ঝাং, কুয়েতা, ওকারা, লাহোর, অ্যাবোটাবাদ, বাজাউর, শাংলা, কহিস্তান, মানসেহরা, গুজরানওয়ালা এবং মান্দি বাহাউদ্দিনেও বড় ধরনের সমাবেশ হয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আগে জাতীয় পরিষদের সদস্য পদ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ইমরান খানকে উদ্ধৃত করে গোপন একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জিও টিভি বলেছে, ‘আমরা কোনো অবস্থাতেই এই সংসদে বসব না।’ পিটিআই-এর সংসদীয় দলের বৈঠকে সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইমরান খান বলেছেন, পিটিআই সেইসব লোকদের সাথে সংসদে বসবে না, যারা পাকিস্তানকেই ডাকাতি করেছে এবং যারা ‘বিদেশি শক্তির দ্বারা আমদানি হয়েছে’।
তিনি আরো বলেছেন, যেসব প্রতিষ্ঠান নতুন সরকার দিয়ে দেশ চালাতে চায়, তাদের চাপে রাখতেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি … আমরা তাদের ক্ষমতা ধরে রাখতে দেব না।
ইমরান খান আরো বলেছেন যে, রবিবার রাতে সারাদেশ পিটিআই-এর শক্তি দেখেছে।
তবে অন্য একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জিও টিভি বলেছে, পিটিআই-এর বেশিরভাগ সদস্য পদত্যাগের ব্যাপারে ইমরান খানের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন।
এমনকি আজকের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েও নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পিটিআই-এর তরফ থেকে।
সূত্র: জিও টিভি।