মিডিয়া ডেস্ক : ইসরায়েল আবারও সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। সিরিয়ায় ইরানের প্রভাব ঠেকাতেই ইসরায়েল এ হামলা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় ইসরায়েল অধিকৃত গোলান হাইটস থেকে এ হামলা চালানো হয়। এ হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে সিরিয়া। অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করার আগেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি তাদের।
এদিকে ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র এ নিয়ে কোনো কথা বলতে চাননি। তবে ইসরায়েলের সরকারি সংস্থা কান জানিয়েছে, সেখানকার সেনা কর্মকর্তারা রবিবার সন্ধ্যায় আলোচনায় বসেছিলেন। তারা গালফ অব ওমানে ইসরায়েলের একটি জাহাজে ইরানের আক্রমণ নিয়ে আলোচনা করেন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁদের পণ্য জাহাজে ইরানই আক্রমণ করেছিল বলে তাঁর বিশ্বাস। সিরিয়ায় ইরানের দখলদারি ঠেকাতে ইসরায়েল এখন প্রায় প্রতি সপ্তাহেই হামলা চালাচ্ছে।
সিরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, ইসরায়েল অধিকৃত গোলান হাইটস থেকে দামাস্কাসে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। সিরিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে পেরেছে। কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেও এই প্রতিবেদনে জানানো হয়।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, দামাস্কাসের দক্ষিণে এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এখানেই ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড ও হিজবুল্লাহর ঘাঁটি।
ইসরায়েলের দাবি, ইরানের বাহিনীর সিরিয়ায় থাকার কোনো অধিকার নেই। ইরান যাতে সেখানে কোনো প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, তার জন্য ইসরায়েল সক্রিয়। পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্রের মতে, ইরানের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে ইসরায়েল। ২০১১ সালের গৃহযুদ্ধের পর থেকে সিরিয়ায় ইরানপন্থী ও হিজবুল্লাহদের লক্ষ্য করে একাধিক আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েল। কয়েক দিন আগে আমেরিকাও সিরিয়া-ইরাক সীমান্তে ইরানপন্থী মিলিশিয়াদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে।