মিডিয়া ডেস্ক : লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ দুটি বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৭৮ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া প্রায় ৪ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হামাদ হাসান মঙ্গলবার একটি হাসপাতালের বাইরে সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান।
আহত অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব বুধবার দেশটিতে জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। গণমাধ্যম ও স্থানীয়দের ধারণ করা ভিডিও চিত্রে দেখা যায় বৈরুতের আকাশে কালো ধোঁয়া। স্থানীয়রা জানান এমন বিস্ফোরণ এর আগে তারা কখনো দেখেননি।
ভিডিওগুলোতে দেখা যাচ্ছে, দেশটির রাজধানী শহর সেন্ট্রাল বৈরুতের আকাশে ধোঁয়ার লাল কুণ্ডলী উড়ছে। বিস্ফোরণের শব্দে বাসিন্দাদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ভবনগুলোর দরজা ও জানালার গ্লাস ভেঙে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এখন পর্যন্ত কিভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, বন্দরে একটি আতশবাজির গুদামে বিস্ফোরণ থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। তবে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে সংরক্ষণ করে রাখা দাহ্য পদার্থের কারণে অগ্নিসংযোগ ঘটেছে, যেখান থেকেই এই বিস্ফোরণ হতে পারে’।
এদিকে লেবাননের প্রেসিডেন্ট মাইকেল আউন সেনাবাহিনীকে বৈরুতের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় টহল দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বিস্ফোরণের ঘটনায় লেবাননের বুধবার (৫ জুলাই) জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছেন দেশটির সরকার প্রধান।
বিস্ফোরণের পর পরই হতাহতদের চিকিৎসার জন্য জরুরীভিত্তিতে রক্ত সংগ্রহে নেমেছে দেশটির রেড ক্রস। এক টুইট বার্তায় সংস্থাটি বলে, ‘বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য সকল ধরনের রক্তদানের জন্য ‘জরুরি আহ্বান’ জানানো হচ্ছে’।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের পর বৈরুতে বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে। গাজি বালকিজ নামের এক ব্যক্তি বলেছেন, অনেক মানুষের হাত-পা ভেঙে গেছে।
ঘটনায় আহত এক ব্যক্তি জানান, ‘আমি জানি না কি হয়েছে। আমি মাছ ধরছিলাম এরই মধ্যে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। কালো ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে যায় গোটা আকাশ। আমি আহত হয়েছি।’