দারুল ইসলাম
মরহুম মহাসচিব আব্দুল জব্বার সাহেব অফিস পরিচালক ও মহাসচিব উভয় পদের দায়িত্ব পালন করেছেন।
অফিস পরিচালক পদে বেতন নিতেন, এবং সেটা প্রাপ্যও, কারণ তিনি ফুল ডে অফিস করতেন। এমনকি তার পড়ে থাকাই ছিলো বেফাক নিয়ে।
তখন তার বেতন ছিল ৩০ হাজার, বাসা ভাড়া সহ সবমিলিয়ে ৪৫ হাজার।
ওয়াফাতের পর তাঁর স্থলে পদোন্নতি পেলেন যুবায়ের আহমাদ চৌধুরী সাহেব তিনি অফিসিয়াল সব কাজকর্ম করে যাচ্ছেন।
তার সাথে সহকারী মহাপরিচালকও রয়েছেন। তারও বেতন সম্মানজনক।
আর মহাসচিবের নেই কোন অফিসিয়াল দায়িত্ব। হ্যাঁ, সনদে স্বাক্ষর করার কাজ থাকলেও সেখানে বিকল্প পন্থায় ই চলে বেশিরভাগ অর্থাৎ তারপক্ষে অফিসিয়াল কেউ স্বাক্ষর দেওয়া।
এ পদের জন্য আগে কোন বেতনও ছিলোনা, তিনি কি করলেন! তার বোনজামাই ফরিদাবাদের পারিবারিক নায়েবে মুহতামিম কলঙ্কিত নূরুল আমীনকে দিয়ে খাস কমিটির মিটিংয়ে ওই যে “হাটহাজারী হুজুর কইছে” নীতিতে লবিং করে মহাসচিবের বেতনের কথা উঠিয়ে সভাপতির হুকুম বলে মঞ্জুর করাইলেন।
প্রথমে পেতেন ২০,০০০/= টাকা করে, পরে আবার নূরুল আমীনকে দিয়ে এই বেতনে হয়না বলে আরো ১০০০০/= টাকা বাড়াইলেন। কী এমন কাজ করেন যে ২০ হাজারে পোষায় না?
যাক তিনি বেফাক থেকে ৩০,০০০/= হাজার টাকা বেতন নেন। কি কাজের বেতন এটি? জানা নেই।
আবার অফিসে আসলেই রাহ্ খরচ নামে ১৫০০-২০০০/= টাকা করে নেন। আগে তার দূর্নীতির সহযোদ্ধা আবূ ইউসুফ আরো বেশি দিত তাকে, তিনিও খুশী মনে বাকবাকুম করে লুফে নিতেন। অন্ধ বিবেকও বাঁধা দিতোনা। বিষয়টি কমিটির দৃষ্টিগোচর হলে তারা আপত্তি করে কমিয়ে এতটুকুতে আনা গেছে, তাও যারা আপত্তি করেছেন তারাই মহাসচিবের কাঁটা হয়েগেলেন, সাম্প্রতিক ফাঁস হওয়া ফোনালাপগুলো যার জলন্ত প্রমাণ।
প্রশ্ন: ১
বেতনভুক্ত স্টাফ হলে তিনি কি অফিসে সময় দেন ?
উত্তর: শুধু রাহ খরচ নেওয়ার জন্য ১/২ ঘন্টার কিংবা কখনো না গিয়েও ভাউচার মঞ্জুর হওয়ার রেকর্ড রয়েছে।
প্রশ্ন: ২
অফিসের স্টাফ হলে রাহ খরচ অন্যকেউ পায় কি? মাসে বিশ বার অফিসে গেলে ১ ঘন্টা করে সময় দিলেই প্রতিদিন গড়ে কমপকট ১৫০০/= টাকা হিসেবে ২০ দিনে আরো ৩০ হাজার টাকা খাড়া। বাহ কি সুন্দর নায়েবে রাসূল।
ভাবতেও ঘৃণায় মেজাঝ খারাপ হয়ে যায়। রাহ খরচ পান সাধারণত আমেলা সদস্যরা কেউ মিটিং এ আসলে। কারণ হল তারা নিজেদের শত ব্যস্ততা ফেলে জাতীয় স্বার্থে নিজেদের কিছু সময় বেফাকে দিয়েছেন।
তাই বেফাক তাকে খরচ দিয়ে এনেছেন। আর রাহ খরচের সাথে সামান্য কিছু সম্মানী ভাতা দেওয়া হয় এ জন্য যে তিনি এ সময় কোন কাজে থাকলে হয়তো কিছু আর্থিক ভাবে ইনকাম করতেন। তাই উভয়ের সমষ্টিতে রাহ খরচ ও সম্মানী ভাতা কারো ২০০০ আবার দূরের যারা তাদের দূরত্ব হিসেবে ৫০০০-১০০০০ পর্যন্ত রাহ খরচ ও সম্মানী ভাতা নিয়ে থাকেন।
তাই বলে ফরিদাবাদ থেকে বেফাকে আসলে মহাসচিবকে রাহ খরচ দিতে হবে? কি কারণে বেফাক তাকে মাসিক অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে? রাহ খরচ আর নিয়মিত বেতন মিলিয়ে প্রায় ৬০- ৭০ হাজার টাকা, তারপর মিটিং ভাতারও রয়েছে এক্সটা ভাউচার, এর উপরে আবার কোনদিন কোন মাদরাসায় বেফাকের প্রোগ্রামে গেলে মোটা দাগের ভাউচার!
সব মিলিয়ে লাখের কাছাকাছি প্রায় লুটে নেন বেফাক থেকে। কোন যুক্তিতে!!! অথচ হাইআ গঠিত হওয়ার পর সেখানে হাজিরা ভাতা বেশি বলে দৌড় সেখানেই বেশী থাকে।
এসব কি দূর্নীতি নয়? তার যদি শুধু এটাই একমাত্র ইনকাম সোর্স হত তাহলেও এক কথা ছিল। ফরিদাবাদ মাদরাসা থেকে মাসে বেতন ভাতা এসব মিলিয়ে পান অর্ধলক্ষেরও অধিক টাকা।
অথচ এই মহাসচিব বেফাকের কর্মীদেরকে ওভারটাইম করিয়ে কাজ উদ্ধার করে, তারপর তারা বেতন চাইতে গেলে তিনি নসীহত করেন দ্বীনি কাজে কোন ওভারটাইম নাই! সেই রমজানে কর্মীরা ওভারটাইমের জন্য জোর দাবী জানালে তিনি তাদেরকে তার বদস্বভাবসুলভ আচরণ করে হুমকি দিলেন চাকুরীচ্যুতির, এবং ঈদের পর ধাপে ধাপে ১৫ জনের চাকুরিচ্যুতিও ঘটালেন বেয়াদবি ও ঠুনকো অজুহাতে। একচ্ছত্র ক্ষমতাবলে আশরাফ আলী সাহেবকে বুঝিয়ে ওনাকে দিয়ে সব করাইতো।
অফিসে মহাসচিবের বিশ্বস্ত গোয়েন্দা ও দূর্নীতির আরেক বরপুত্র আশরাফ আলী সাহেবের ভাগিনা ত্বহা এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবূ ইউসুফ কর্মীদের সাথে যাচ্ছে তা ব্যবহার করতো, আর প্রতিনিয়ত আপডেট জানাতো মহাসচিবকে, যাকে তাদের যথেচ্চা ব্যবহারে বাঁধা মনে হতো তাদেরকে দেয়া হতো বিদায়। এসবের প্রমাণ সামনের আলোচনায় পাবেন ইনশাআল্লাহ্।