★ কমেছে সরকারি বিজ্ঞাপন, আটকে আছে বকেয়া
★ শূন্যের কোঠায় বেসরকারি বিজ্ঞাপন
★ নেই কোনো প্রণোদনা
আওয়ার মিডিয়া : বড় ধরনের বিপদের মুখে পড়তে যাচ্ছে সংবাদপত্র। বিজ্ঞাপন শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। পত্রিকার গ্রাহকও কমেছে। এ অবস্থায় সংবাদপত্র টিকিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে পড়েছে।
করোনা সংকটে সব খাতই প্রণোদনা, সহায়তা বা ছাড় পেয়েছে। কিন্তু সংবাদপত্র সেবা শিল্প হওয়া সত্ত্বেও সরকারের কাছ থেকে বিশেষ কোনো সুবিধা পাচ্ছে না। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটেও সংবাদপত্রের জন্য কোনো সুখবর নেই।
করোনাকালের অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত প্রায় সব মিডিয়া হাউস। এমনিতেই তেমন একটা নেই সরকারি বিজ্ঞাপন, প্রায় বন্ধের উপক্রম বেসরকারি ব্যবসা-বাণিজ্যের বিজ্ঞাপনও। এর মধ্যেই ব্যাংকের বিজ্ঞাপন বন্ধের ঘোষণাও এসেছে।
বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ওষুধশিল্পের বিজ্ঞাপন থাকলেও নেই বাংলাদেশে। বারবার অনুরোধ করেও পাওয়া যাচ্ছে না সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর কাছে জমে থাকা বকেয়া বিল।
২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট সামনে রেখে সংবাদপত্রশিল্প রক্ষায় নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রীর কাছে পাঁচ দফা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
সেগুলো হলো—সংবাদপত্রের করপোরেট ট্যাক্স ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, নিউজ প্রিন্ট আমদানির ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাদ দেওয়া, বিজ্ঞাপন আয়ের ওপর উৎস কর (টিডিএস) ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা, উৎসস্থলে কাঁচামালের ওপর ৫ শতাংশের বদলে অগ্রিম কর (এআইটি) শূন্য শতাংশ করা এবং কর্মীর আয়কর থেকে প্রতিষ্ঠানকে দায়মুক্ত করা ও তাঁর বাড়িভাড়ার পুরোটাই করমুক্ত করা। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে এসব দাবির ব্যাপারে কোনো সুখবর পাওয়া যায়নি।
নোয়াব বলছে, বিশ্বায়ন ও ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে ছাপা সংবাদপত্র এমনিতেই রুগ্ণ শিল্পে পরিণত হয়েছে। আর করোনাভাইরাসের মহামারি সংবাদপত্রশিল্পের জন্য আরো ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
পত্রিকাগুলোর বিজ্ঞাপন শূন্যের কোঠায় নেমেছে, পত্রিকার গ্রাহক ব্যাপকভাবে কমেছে। ফলে প্রচুর আর্থিক লোকসান গুনতে হচ্ছে। পত্রিকাগুলোর মাসিক বেতন ব্যয়, অফিস ভাড়া, ব্যবস্থাপনা ব্যয়, পত্রিকা পরিবহন ব্যয়সহ অন্যান্য সব ব্যয় অপরিবর্তিত রয়েছে।
এরই মধ্যে কয়েকটি পত্রিকা প্রিন্ট সংস্করণ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। বর্তমানের এই সংকটময় মুহূর্তে সরকারের সহযোগিতা ছাড়া সংবাদপত্রশিল্পের টিকে থাকা কঠিন।