মিডিয়া ডেস্ক : লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনের মধ্যে সংঘর্ষের সময় কোনো গুলি ছোড়া হয়নি। ওই সংঘাতে পাথর, লোহার রড় ও লাঠির ব্যবহার হয়েছে। এদিন তিন ভারতীয় সেনা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হননি। তারা চীনা সেনা সদস্যদের সঙ্গে ‘হাতাহাতি’তে নিহত হয়েছেন। এর আগে চীনা সেনাদের গুলিতে ভারতীয় সেনারা নিহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছিল।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর সূত্রে বলা হচ্ছে, সোমবার রাতে সীমান্তে টহলদারির সময় দুই দেশের সেনার মধ্যে যে মুখোমুখি সংঘাত হয়েছে তাতে গুলি চলেনি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক কর্নেল ও দুই সেনা সদস্যের যে মৃত্যু হয়েছে, তা গুলিতে বা বিস্ফোরণের কারণে নয়। লোহার রড, পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
বলা যেতে পারে প্রথমে দু’পক্ষের হাতাহাতি হয়। তার পর তা প্রাণঘাতী মারামারির পর্যায়ে পৌঁছায়। চীনা সেনারা লোহার রড, লাঠি, পাথর নিয়ে মারামারি করে।
ভারতীয় সেনা সূত্রকে উদ্ধৃত করে সেদেশের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে। ওই সেনা সূত্র দাবি করেছে, দুই পক্ষের ওই সংঘর্ষের ঘটনায় ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চীনা সেনারও প্রাণহানি’ হয়েছে।
গত মাসের শুরুর দিক থেকে প্যানগং (পূর্ব লাদাখ) এবং নাকুলা (সিকিমের) এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার খবর আসতে থাকে। সে থেকেই দুই পক্ষের সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা চলছে।
তখন থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর প্রচুর সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়। এরমধ্যেই সোমবার মধ্যরাতে গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এতে ভারতীয় বাহিনীর এক কর্মকর্তা ও দুই জওয়ান নিহত হয়।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে দেওয়া বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ‘গালওয়ান উপত্যকায় সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলাকালীন দু-পক্ষই সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে।’ বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘এই অশান্ত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে দুই দেশের উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তারা বৈঠকে বসছেন।’
পরবর্তীতে এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানানোর কথা বলা হয়।
চীনা কর্তৃপক্ষের দাবিকে উদ্ধৃত করে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ভারতীয় সেনারা সীমান্ত অতিক্রম করে চীনা সেনাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
সূত্র- এনডিটিভি।