শিরোনাম
শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ১০:৩২ অপরাহ্ন

এপ্রিলের বেতন হয়নি দুই-তৃতীয়াংশ পোশাক কারখানায় !

/ ৫০৯ পঠিত
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৬ মে, ২০২০

আওয়ার মিডিয়া : শিল্পাঞ্চলের সাত হাজার ছয়শ’ কারখানার দুই তৃতীয়াংশ কারখানা এখনো এপ্রিলের বেতন পরিশোধ করতে পারেনি। পরবর্তী মাসের সাত কার্যদিবসের মধ্যে বেতন পরিশোধের আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও শিল্পাঞ্চলের সাত হাজার ৬০২টি কারখানার মধ্যে ৫ হাজার ৫০টি কারখানা আজ শনিবার পর্যন্ত বেতন পরিশোধ করতে পারেনি। বাদবাকী ২ হাজার ৫৫২টি কারখানা বেতন পরিশোধ করেছে।

শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত কারখানার প্রায় অর্ধেক রপ্তানিমুখী। রপ্তানিমুখী কারখানার বেতন পরিশোধে সরকার প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে। তা সত্বেও এসব শিল্পের প্রায় এক তৃতীয়াংশ কারখানায় এখনো বেতন পরিশোধ হয়নি। এ ছাড়া এখনো তিন শতাধিক কারখানা মার্চের বেতনও পরিশোধ করেনি বলে শিল্পাঞ্চল পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।

এদিকে বেতনভাতা ইস্যতে শিল্পাঞ্চলে অসন্তোষও থামছে না। শনিবারও গাজীপুর, আশুলিয়াসহ কয়েকটি এলাকায় শতভাগ বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন, অপেক্ষাকৃত ছোট কারখানাগুলোর পক্ষে সরকারের প্রণোদনার আওতায় ঋণ পাওয়া সম্ভব হবে না। এসব কারখানা ঋণ না পেলে বেতন পরিশোধেও সমস্যা হতে পারে।

এ ছাড়া এখনো মার্চের বেতন পরিশোধ না হওয়া কারখানার সংখ্যাও অনেক। এ ধরণের বেশকিছু কারখানার তালিকা তুলে ধরে ঈদের আগে এসব কারখানার বিষয়ে বিশেষ নজরদারির কথা জানানো হয় শিল্পাঞ্চল পুলিশের পক্ষ থেকে। ওই সভায় এপ্রিলের বেতন ইস্যুতেও আলোচনা হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কবে নাগাদ এপ্রিলের বেতন পরিশোধ হবে, তা মালিকদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন। মালিকপক্ষ সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ না জানালেও ঈদেও আগে বেতন পরিশোধ হবে বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া শ্রমিকদের ঈদ বোনাস অর্ধেক ঈদের আগে এবং বাদবাকী অংশ ঈদের পরে পরিশোধ হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শ্রমিক নেতা ও বাংলাদেশ গার্মেন্টস ওয়াকাস ফেডারেশনের মহাসচিব বাবুল আখতার বলেন, বড়ো কারখানার সঙ্গে ব্যাংকের লেনদেন ভালো হওয়ায় তারা ব্যাংকের কাছ থেকে প্রণোদনার ঋণ সুবিধা পাচ্ছে। ওইসব কারখানায় বেতনভাতাও ঠিকমতো হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হবে মাঝারি ও ছোট কারখানা নিয়ে। এসব কারখানা ব্যাংকের কাছ থেকে প্রণোদনার ঋণ পাচ্ছে না। ফলে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধেও সমস্যা হবে।

তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়টি আজকের  সভায় মাননীয় মন্ত্রীকে জানিয়েছি।

বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, স্যালারি শিট ব্যাংকে পাঠানো এবং পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার কারনে কিছু সময় লাগছে। তবে আগামী ২২ এপ্রিলের মধ্যে বেতন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এ ছাড়া বোনাসের বিষয়ে তিনি বলেন, ঈদের আগে অর্ধেক বোনাসের অর্থ দেওয়া হবে। বাদবাকী অংশ পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে।

শিল্পাঞ্চল পুলিশসূত্র জানিয়েছে, শনিবার নাগাদ বিজিএমইএ’র সদস্যভুক্ত ১ হাজার ৮৮২টি কারখানার মধ্যে ১ হাজার ১৪২টি কারখানায় বেতন হয়নি। অন্যদিকে ১ হাজার ১০১টি কারখানার মধ্যে ৭৯১টি কারখানায় বেতন হয়নি। এর বাইরে অন্যান্য খাতের শিল্পে বেতন পরিশোধের অবস্থা অরো নাজুক।

**কালেরকণ্ঠ**


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ