তামান্না নুসাইবা
আজ ফজরের সময় উঠে নামাজ আদায় করলাম। কিন্তু একটি বিষয় খুবই খারাপ লাগছিল। তাহাজ্জুদের সময় জাগ্রত হয়ে ও উঠে নামাজ পড়তে পারলাম না। কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম, বুঝতেই পারলাম না! নিশ্চয় শয়তান চেপে ধরে রেখেছিল।
সকাল বেলাও অনেক ঘুম ছিল। কিছুক্ষণ ঘুমানোর পর ওঠে নাস্তা করি। একটা সংবাদ শুনতে পেলাম। সকাল দশটায় দেশের সকল শীর্ষস্থানীয় আলেমদের একটি বৈঠক হবে। মসজিদগুলো উন্মুক্ত করে দেবার ব্যাপারে আলোচনা হবে। দোয়া করি, যাতে মসজিদগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
কারণ দেখা যাচ্ছে করোনাভাইরাস শুধু আল্লাহর গজব ছাড়া অন্য কিছুই নয়। কেননা এখন পর্যন্ত ভাইরাস নিরাময়ের ঔষুধও বের হয়নি। তাছাড়া বাংলাদেশে তো অন্যান্য দেশের তুলনায় চিকিৎসার সরঞ্জাম অনেক কম, তাই আমাদের জন্য আল্লাহ ছাড়া আর কোন আশ্রয়স্থল নেই।
পাকিস্তানে ইতোমধ্যে মসজিদ ও হেফজখানাগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। দোয়া করি, আমাদের সরকারও যেন এ সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। শুনেছি, জাপানের প্রেসিডেন্ট নাকি নামাজ আদায় করছে। সেই সাথে অনেক অমুসলিমরাও নামাজ আদায় করছে। কারণ তারা বিশ্বাস করছে, যে ব্যাক্তি নামাজ আদায় করবে তার করোনাভাইরাস হবে না।
১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের ভয়ে অমুসলিমরাও কালিমা শিখেছিল। আর এখন করোনার ভয়ে অমুসলিমরা নামাজ আদায় করছে। আল্লাহর কী কুদরত! আর ইতালির শাসনকর্তা কত চমৎকার কথাই না বলেছেন!! তার এমন কথা সকলকেই হতবাক করে দিয়েছে। সবই আল্লাহর ইচ্ছা, তিনি যা ইচ্ছা করেন তাই করেন। এখানে আমাদের কারোর হাত নেই!
রোজনামচার পাতা : ১৬.০৪.২০২০