ইবনে উমর
বাতাসটা মোটামুটি বেগেই বইছে। আমগাছ,জামগাছ, নারকেলগাছের পাতাগুলো শরশর ছন্দে নৃত্য করছে। বাঁশঝাড়,আকাশিগাছ, মেহগনিগাছগুলো উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিমে মাথা দোলাচ্ছে। গাছের ডালে, ঘরের চালে যত শুকনো, আধা হলদে,গাঢ় হলদে পাতা আছে একটি করে, দুটি করে,দল বেঁধে, ঝাঁক বেঁধে উঠোনজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে।
মাঝে মাঝে একদুটো সবুজ পাতা যে পড়ছে না,তা নয়। ও-ই তো অনেকগুলো সবুজ পাতা সমেত মেহগনির আস্ত একটা ডালই ভেঙে পড়েছে। দূর থেকে দুচোখে জরিপ করে বোঝা যায়,ডালটি কম সে কম দেড় বিঘত বড় হবে।
আজ বৈশাখ মাসের চার তারিখ। মানে গ্রীষ্মকাল এসে পড়েছে। কিন্তু আমাদের এখান থেকে বসন্ত এখনো একেবারে বিদায় হয় নি। ওই তো কোকিল ডাকছে।কুহু কুহু কিংবা কুউ কুউ। কোকিলের ডাক একেকজন একেকরকম শুনে থাকে।
কাকও ডাকছে কা কা করে।টুনটুনিটি ডুমুরগাছ থেকে বের হয়ে আমগাছের ডালে বসে নেচে নেচে একরকম সুরে গান গাইছে।সুরটা কুঁইকুঁই বা কুইক কুইক হবে। টুনটুনির আওয়াজটা ঠিক কেমন, কোন কবি-সাহিত্যিকের লেখায় এখনো পাই নি।
আমারই অক্ষমতা যে, পেলাম না কেন।
এক্ষণে রোদটাও আনন্দে ঝলমল করছে। প্রকৃতির কোন কিছুতে কোন পরিবর্তন এসেছে কিনা, জানি না।এসে থাকলেও আমার দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না।
পরিবর্তনটা এসেছে কেবল আমাদের মনুষ্যজগতেই। দুশ্চিন্তার কালো মেঘ পুরো মানবজাতিকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে বিশাল আকাশের মতোই।সব কেমন নীরব-নিস্তব্ধ। পাখির আওয়াজ, বাতাসের আওয়াজ এখন খুব ভালো শোনা যায়।
শুধু মানুষের আওয়াজ খুব শোনা যায় না।যারা ক্ষুধার জ্বালায় অস্থির, অস্থিরতা তাদের ভেতরে ভেতরেই কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। ব্যথার কান্নাটাও ভেতরেই সীমাবদ্ধ। যারা ক্ষুধার্তের আহার চুরি করে খাচ্ছে,তারাও খুব নীরবে খাচ্ছে। কোন আওয়াজ নেই কোথাও।
আহ! সবকিছু কবে যে আবার ঠিক হবে! সবকিছু ঠিক হবে?
রোজনামচার পাতা : ১৭.০৪.২০২০
সেই চমৎকার!! তোমার লেখা আরো চাই!!
ভালো লাগার কৃতিত্বটুকু শুধুই আপনার।💗💗💗
তাই?? খুব খুশি হলাম
Hi……ia jakir khan…..nice your writing
Thank you very much!❤️❤️❤️
চমৎকার রোজনামচা
উৎসাহ দেবার জন্য জাযাকাল্লাহ