আওয়ার মিডিয়া : বাংলাদেশে রমজান মাস শুরু হতে পারে ২৫ অথবা ২৬ এপ্রিল থেকে। শাবান মাসের চাঁদ দেখার আগেই অন্যান্য বছর এই সময়ে খতমে তারাবির প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে যায়। বৈশ্বিক মহামা’রি করো’নাভাই’রাসের প্রাদুর্ভাবে এবার তারাবির নামাজ ম’সজিদে অনুষ্ঠিত হবে কি না, সে সিদ্ধান্তে এখনো পৌঁছানো যায়নি।
বর্তমানে দেশে মসজিদের সংখ্যা আড়াই লাখের উর্ধ্বে। তাই দেশের ৫ লাখেরও বেশি হাফেজ আছেন দুশ্চিন্তায়। রমজানে মু’সলমানরা এশার নামাজের পর বিতরের আগে অ’তিরিক্ত ২০ রাকাত নামাজ পড়ে থাকেন। যেটিকে তারাবির নামাজ বলা হয়। তারাবির নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এটি কুরআন খতম করে বা ছোট ছোট সূরা দিয়ে পড়া যায়।
ধ’র্মপ্রা’ণ মু’সলমানরা খতমে তারাবিতে অংশ নেওয়ার জন্য ম’সজিদগুলোতে ভিড় করেন। কিন্তু এবার অনেক দেশেই ম’সজিদে খতমে তারাবি হবে না। করো’নার সংক্রমণের ঝুঁ’কি এড়াতে অনেক দেশে ম’সজিদে নামাজ পড়া আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশে ম’সজিদ বন্ধ করা না হলেও শুক্রবার ছাড়া অন্যান্য দিনে ম’সজিদে সর্বোচ্চ ৫ জনের নামাজ পড়ার সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে।
এদিকে সৌদি আরবসহ অনেক দেশ এবার তারাবির নামাজ ম’সজিদে হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করো’নার সংক্রমণ এড়াতে দেশগুলো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ম’সজিদের পরিবর্তে নিজ নিজ বাড়িতে তারাবির নামাজ পড়ার পরাম’র্শ দেয়া হয়েছে এসব দেশে।
বিশ্বের আরও কিছু দেশে ম’সজিদসহ ধ’র্মীয় স্থাপনা এবং গণজমায়েত বন্ধ রেখেছে। সে কারণে এসব দেশেও এবার ম’সজিদে তারাবি পড়ার সুযোগ নাও হতে পারে।এসব কারণে দেশের লাখ লাখ হাফেজ বেশ চিন্তিত। চিন্তাটা অবশ্য অর্থনৈতিক কারণের নয়,বরং কুরআন তেলাওয়াত করতে না পারার কারণে। রমজানের ওসিলায় কুরআন শরীফ ইয়াদটা অন্তত হয়ে যেত। কিন্তু এবার মনে হয় সেটাও হবে না।
তারপরও আম’রা বলবো, যেসব ম’সজিদে ইতোপূর্বে খতমে তারাবির আয়োজন হতো, ওই ম’সজিদ কর্তৃপক্ষ হাফেজদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখবেন। যেন নতুন কোনও সিদ্ধান্ত হলে দ্রুত তা বাস্তবায়ন করতে পারেন।