জুনাইদ হাসান
ছোট একটি শব্দ “মাদীনা”।এতো শুুধ শব্দ নয় বরং একটি মধুর নাম । এই নাম যতই জপা হয় ততই তার লজ্জত আর স্বাদ বেড়ে চলে। মদীনা শুধুু একটি নামই নয় বরং একটি উপাখ্যান, একটি ইতিহাস।সোনালী ইতিহাসে যাকে গর্বভরে স্মরণ করা হয়। সেই সোনার মদিনা হৃদয়ের গহীনে যার জন্য রয়েছে অফুরন্ত বাসনা। যাকে কেন্দ্র করে শত আশেক আশা বুনছে প্রতিনিয়ত।
সবুজ গম্বুজের বেষ্টনীতে সেই রাওজায়ে আতহার।আহ, কতই না ধন্য সে মাটি যে মাটি পেয়েছে রাসূলের পরশ! যেই মহান ব্যক্তির সান্নিধ্যে যুগের নিকৃষ্ট মানুষগুলো পরিণত হয়েছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষে। তাই তো কতেক আলেম বলেছেন কাবা ঘর থেকে উত্তম সে মাটি যে মাটি পেয়েছে জাসাদে আতহারের স্নিগ্ধ ছোঁয়া।একটু সান্নিধ্য পেতে যেখানে ভিড় জমায় হাজারো আশেকান।
আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ এর ধ্বনিতে গুঞ্জরিত হয়ে ওঠে মদিনা প্রাঙ্গন। আহ, কী মনোরম, অভূতপূর্ব …দৃশ্য!! আহ, কী লজ্জত আর কী স্বাদ মধুমাখা সেই ধ্বনিতে! ইচ্ছে করে প্রতিধ্বনিত করতে সেই ধ্বনি; যে ধ্বনি আশেকের হৃদয়ে ইশক আর মওজ বাড়িয়ে তুলে বহুগুণে । ইচ্ছে করে এখানেই থেমে যেতে চিরতরে।এমন প্রেমিক কী পাওয়া যাবে ? যে তার প্রেমাষ্পদকে ছেড়ে চলে যেতে চায় বহুদূরে।কিন্তু হায়, ভাগ্যের লিখন, করা না যায় খণ্ডন।
ইশক, মুহাব্বত আর ভালবাসার শত আবেগ আর উচ্ছ্বাস থাকা সত্ত্বেও আশেক তার মাশুক, মাহবুবের সান্নিধ্য ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয় সুদূর কোন শহরে।শত ব্যথা হৃদয়ে ধারণ করে, শত বেদনা আর হাতাশা বুকে চাপা দিয়ে, আবারও ফিরে আসার ব্যাকুলতা নিয়ে প্রাণের শহর মাদীনা, চোখের শীতলতা সেই রওজা ছেড়ে চলে যেতে হয় স্বদেশে।শত আশায় বুক বাঁধতে থাকে আবার কবে আসবে সেই সৌভাগ্য ।
আর আমি লাব্বাইক বলে ছুটে যাব মাদীনার পানে।হৃদয়ের সবটুকু ভালবাসা, মুহাব্বত, আবেগ, উচ্ছ্বাস সঁপে দেব রাসূলের তরে রওজায়ে আতহারে ।আর সৌভাগ্যের অমীয়সুধা পানে সিক্ত হবে আশেকের তপ্ত হৃদয় । অবশেষে প্রভুর তরে এই ফরিয়াদ তিনি যেন পাঠক লেখক সকলকেই এমন সৌভাগ্য বারবার দান করেন। আমীন।
আমিন