আব্দুল্লা মামুন।
দেশ এখন করোনা ভাইরাসের চতুর্থ ধাপ অতিক্রম করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধাপটিই বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বিপদজনক ও ঝুঁকিপূর্ণ। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেশে সর্বমোট ৩৩০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৩৩ জন। ঢাকার পরেই আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি নারায়ণগঞ্জ জেলায়।
এখন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক নারীসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসক, নার্সসহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ জন। তাই কঠোরভাবে পুরো নারায়ণগঞ্জ জুড়ে চলছে লকডাউন।
তবে নির্দিষ্ট কিছু এলাকা সার্বক্ষণিক আইন শৃঙ্খলা বাহীনির নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বেশ কিছু স্থানে অনেক শিথিলতা দেখা গেছে। জন সমাগম চোখে পড়ার মতই ছিল। বিশেষ করে ফতুল্লা থানার বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে এ দৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।
সকাল ও দুপুরের দিকে রাস্তা-ঘাট কিছুটা নিরিবিলি থাকলেও বিকাল দিকে তা যেন মাছের বাজারে পরিণত হয়। প্রতিদিনের মত আজও রাস্তা-ঘাটে মানুষের চলাফেরা ছিল চোখে পড়ার মত । এক পথচারীকে জিজ্ঞেস করা হলো, দেশের এই পরিস্থিতিতে সরকার তো আপনাদেরকে ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন, তাছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা তো কঠোরভাবে লকডাউন করা হয়েছে, তবুও আপনারা ঘর ছেড়ে বাহিরে বেরিয়েছেন কেন? উত্তরে সে বলল, “সারা দিন ঘরেই ছিলাম, ঘরে থাকতে থাকতে এখন বিরক্তি লাগছে,তাই বিকাল দিকে একটু হাঁটতে বেরিয়েছি”
তার মত আরো অসংখ্য লোকই বিশেষ কোন কাজ ছাড়া শুধু হাঁটার জন্য ই রাস্তায় বেরিয়েছেন।অনেককে আবার রাস্তার মোড়ে ও চার দোকানে বসে আড্ডা দিতেও দেখা যায়। মাস্ক ছাড়াই রাস্তায় ঘোরা-ফেরা করতে দেখা যায় বেশ কয়েকজনকে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় দায়িত্বশীলদের জিজ্ঞেস করলে তারা জানায়–”আমরা যতটুকু পারছি, লোকদেরকে ঘরে রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু এই অঞ্চলগুলো একটু ভেতরের দিকে হওয়ায় এখানে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর লোকেরা একটু কমই আসে,তাই মানুষজনও সেই সুযোগের সদ্বব্যবহার করছে”। চিকিৎসকদের মতানুযায়ী, রোগটি এখন কমিউনিটি পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই প্রত্যেকেই ব্যক্তিগতভাবে সচেতন না হলে কখনোই এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় বলেও তারা জানান।